Skip to main content

Posts

Showing posts from April, 2022

'স্বদেশপ্রেম' অথবা 'জাতীয় জীবনে দেশপ্রেমের গুরুত্ব' নিয়ে প্রবন্ধ রচনা কর

এ প্রবন্ধের অনুসরণে লেখা যায়, দেশপ্রেম, স্বদেশপ্রেম, স্বদেশপ্রেম ও বিশ্বপ্রেম, অথবা, জাতীয় জীবনে দেশপ্রেমের গুরুত্ব। 'স্বদেশপ্রেম' ভূমিকা : “সার্থক জনম আমার জন্মেছি এই দেশে সার্থক জনম, মা গো, তোমায় ভালোবেসে।"  - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর জননী যেমন সন্তানের কাছে আজীবন পূজনীয়, দেশও তেমনি মানুষের কাছে শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায় মোহনীয়। তাই জন্মলগ্ন থেকে মায়ের মতো দেশের প্রতি মানুষের ভালোবাসা ও মমত্ববোধ গড়ে ওঠে। স্বদেশ যত ক্ষুদ্র, দুর্বল বা সমস্যাপীড়িত হোক না কেন, প্রতিটি মানুষের কাছে তার দেশ সকল দেশের সেরা। স্বদেশের মানুষ, তার প্রকৃতি, প্রাণিকুল, প্রতিটি ধূলিকণা দেশপ্রেমিকের কাছে পরম পবিত্র। দেশমাতৃকার মৃন্ময়ী মূর্তি শুধু কাদা-মাটি-জলে নির্মিত প্রতিমামাত্রই নয়, হৃদয়ের নিবিড় ভালোবাসায় এবং গভীর মমত্ববোধে সে অন্তরের অন্তস্তলে পরিগ্রহ করে চির আরাধ্য চিন্ময়ী মূর্তি। দেশপ্রেমিক মানুষ তাঁর ব্যক্তিজীবনের প্রতিটি অর্জনে স্বীকার করেন দেশের অবদান। স্বদেশের স্বার্থ রক্ষায় তাঁরা যেকোনো ত্যাগ স্বীকার করতে কুণ্ঠাবোধ করেন না। এমনকি দেশের জন্য জীবন বিলিয়ে দিতেও তাঁরা পিছপা হন না। দেশপ্রেমের...

'অধ্যবসায়' বা 'অধ্যবসায় ও ছাত্রজীবন' অথবা 'অধ্যবসায়ের গুরুত্ব' নিয়ে প্রবন্ধ রচনা কর

এই প্রবন্ধের অনুসরণে লেখা যায়, অধ্যবসায় অধ্যবসায় ও ছাত্রজীবন, অথবা, মানবজীবনে অধ্যবসায়ের গুরুত্ব। 'অধ্যবসায়' পারিব না এ কথাটি বলিও না আর কেন পারিবে না তাহা ভাব একবার, পাঁচ জনে পারে যাহা, তুমিও পারিবে তাহা পার কি না পার কর যতন আবার একবারে না পারিলে দেখ শতবার। - কালিপ্রসন্ন ঘোষ ভূমিকা :  কোনো কাজে সফলতা লাভ করার জন্য বারবার চেষ্টার নামই অধ্যবসায়। মানুষ আজ পর্যন্ত যতগুলো অভ্যাস আয়ত্ত করেছে তার মধ্যে অধ্যবসায়ই শ্রেষ্ঠ। এর বলে মানুষ অসাধ্যকে সাধন করতে পারে, অসম্ভবকে সম্ভব করতে পারে। জীবনের সব ক্ষেত্রেই অধ্যবসায়ের প্রয়োজন। অধ্যবসায় ছাড়া কঠিন কাজে সফলতা লাভ করা যায় না। শত বাধাবিঘ্নের সাথে লড়াই করে যে জয়ী হতে পারে, সে-ই জীবনে উন্নতি লাভ করতে পারে। সুতরাং মানুষের উন্নতির জন্য সবচেয়ে বেশি নির্ভরযোগ্য সোপান হচ্ছে অধ্যবসায়। অধ্যবসায় :  কোনো কাজে সফলতা লাভের জন্য বারবার চেষ্টা করার নাম অধ্যবসায়। অধ্যবসায় একটি শ্রেষ্ঠ গুণ। প্রকৃতপক্ষে অধ্যবসায় বলতে মানব চরিত্রের কতকগুলো বৈশিষ্ট্যের সমাবেশ বোঝায়। উদ্যোগ, পরিশ্রম, আন্তরিকতা, মনোবল প্রভৃতি গুণ একত্রিত হয়েই অধ্যবসায়ের পরিপ...

সাম্প্রতিক বন্যায় তোমাদের এলাকায় ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তা মেরামতের জন্য সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলীর কাছে একখানা দরখাস্ত

সাম্প্রতিক বন্যায় তোমাদের এলাকায় ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তা মেরামতের জন্য সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলীর কাছে একখানা দরখাস্ত। ২৮.০৭. ২০১৯  নির্বাহী প্রকৌশলী, সড়ক ও জনপথ বিভাগ, ফেনী বিষয় : বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ফেনী-চট্টগ্রাম সড়কটি মেরামতের জন্য আবেদন। জনাব, সবিনয় নিবেদন এই যে, ফেনী-চট্টগ্রাম সড়কটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ; জেলার সাথে হাইমচরের একমাত্র যোগাযোগ মাধ্যম এটি। প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ ও যানবাহন এ রাস্তায় চলাচল করে। সাম্প্রতিক বন্যায় এ সড়কটি এমন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে যে যানবাহন চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। মানুষজন বহু কষ্টে পায়ে হেঁটে কাছে পিঠে যেতে পারলেও যানবাহনের চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় জেলা শহরে এবং গুরুত্বপূর্ণ কাজে যাওয়া সম্ভব হচ্ছে না। ফলে হাইমচরবাসী বহু সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে। অতএব, জনাবের নিকট আবেদন, ফেনী-চট্টগ্রাম সড়কটি অতি শীঘ্র মেরামত করে হাইমচরবাসীর দুর্ভোগ লাঘবের ব্যবস্থা করলে আমরা চিরকৃতজ্ঞ থাকব। বিনীত নিবেদক এলাকাবাসীর পক্ষে কিশোর  ফেনী

"দন্ডিতের সাথে দণ্ডদাতা কাঁদে যবে সমান আঘাতে সর্বশ্রেষ্ঠ সে বিচার" - সারমর্ম লিখ

"দন্ডিতের সাথে দণ্ডদাতা কাঁদে যবে  সমান আঘাতে সর্বশ্রেষ্ঠ সে বিচার।  যার তরে প্রাণ ব্যথা নাহি পায় কোনো, তারে দণ্ড দান  প্রবলের অত্যাচার। যে দণ্ড বেদনা  পুত্রেরে পার না দিতে, সে কারেও দিও না।  যে তোtমার পুত্র নহে, তারও পিতা আছে,  মহা অপরাধী হবে তুমি তার কাছে।" সারমর্ম :  অপরাধ প্রবণতা মানুষের জন্মগত প্রবৃত্তি নয়। তাই কোনো অপরাধীকে শাস্তি দেয়ার পূর্বে বিচারককে আন্তরিক ও সহমর্মী হওয়া উচিত। যে বিচারক দণ্ড দিতে গিয়ে অপরাধীর প্রতি সহানুভূতিশীল হন এবং নিজেকে দণ্ডিত ব্যক্তির আপনজন ভেবে ব্যথিত হন তাঁর বিচারই হবে সর্বশ্রেষ্ঠ বিচার।

"যে নদী হারায়ে স্রোত চলিতে না পারে, সহস্র শৈবাল দাম বাঁধে আসি তারে" - সারমর্ম লিখ

"যে নদী হারায়ে স্রোত চলিতে না পারে,  সহস্র শৈবাল দাম বাঁধে আসি তারে।  যে জাতি জীবনহারা অচল অসার পদে পদে বাঁধে তারে জীর্ণ লোকাচার।  সর্বজন সর্বক্ষণ চলে যেই পথে, তৃণ-গুল্ম সেথা নাহি জন্মে কোন মতে।  যে জাতি চলে না কভু তারি পথ ধরে, তন্ত্রমন্ত্র সংহিতায় চরণ না সরে।" সারমর্ম ( i ) :  স্রোতবিহীন নদীতে যেমন শেওলা জন্মে নদীর গতিপথকে স্তব্ধ করে দেয় ঠিক তেমনি কোনো জাতির চেতনাবোধ লোপ পেলেও তার অস্তিত্ব অসার হয়ে পড়ে। সভ্যতার প্রেক্ষাপটে গতিশীল জাতিই উন্নতির চরম শিখরে আরোহণ করে। আর অসার জাতি প্রতিটি ক্ষেত্রে বিপথগামী, বিধ্বস্ত এবং অস্তিত্বহীন হয়ে পড়ে। সারমর্ম ( ii ) :  গতিতে জীবন, স্থিতিতে মরণ। প্রত্যেক জাতির একটি নিজস্ব গতিধারা আছে। কোনো কারণে জাতি তার গতিশীলতা হারিয়ে ফেললে স্রোতহীন নদীর মতোই সে অচল, অসাঢ় ও প্রাণশূন্য হয়ে পড়ে। কুসংস্কার সে জাতিকে করে গ্রাস। 

"হউক সে মহাজ্ঞানী, মহা ধনবান, হউক প্রতিভা তার অক্ষুণ্ণ উজ্জ্বল" - সারমর্ম লিখ

"হউক সে মহাজ্ঞানী, মহা ধনবান, হউক প্রতিভা তার অক্ষুণ্ণ উজ্জ্বল।  হউক তাহার বাস রম্য হর্ম্য মাঝে, কিন্তু যে সাধেনি কভু জন্মভূমি হিত, স্বজাতির সেবা যে করে নি কিঞ্চিৎ অসীম ক্ষমতা তার অতুল সম্মান। হউক বৈভব তার সমসিন্ধু জল, থাকুক সে মণিময় মহামূল্য সাজে। জানাও সে নরাধমে জানাও সত্বর, অতীব ঘৃণিত সে পাষন্ড বর্বর।" সারমর্ম ( i ): জাতির উপকারের মধ্যেই সকল প্রতিভার সাফল্য নিহিত। মানুষ প্রচুর জ্ঞান, বিপুল অর্থ ও শক্তির অধিকারী হতে পারে অথবা মূল্যবান সাজসজ্জা পরিধান এবং সুন্দর বাসস্থানে বসবাসের সুযোগ পেতে পারে। কিন্তু জাতির সেবায় যে আত্মনিয়োগ করেনি, সে যতই জ্ঞানী, বিত্তবান ও ক্ষমতাশালী হোক না কেন, সে বর্বর ছাড়া আর কিছু নয়। সকলের কাছেই সে ঘৃণার পাত্র। সারমর্ম ( ii ) : মানুষ মহাজ্ঞান, বিপুল ধন-সম্পদ ও শক্তির অধিকারী হতে পারে; কিন্তু জাতির সেবায় যদি সে নিজেকে নিয়োজিত না করে, তবে সে নরাধম ও বর্বর বলে বিবেচিত হয়। নিজ জাতির কল্যাণের মধ্যেই সকল প্রতিভার সাফল্য নিহিত থাকে।

“বসুমতি, কেন তুমি এতই কৃপণা?" - সারমর্ম লিখ

"বসুমতি, কেন তুমি এতই কৃপণা?  কত খোঁড়াখুঁড়ি করি পাই শস্য কণা।  দিতে যদি হয় দে মা প্রসন্ন সহাস,  কেন এ মাথার ঘাম পায়েতে বহাস? বিনা চাষে শস্য দিলে কি তাহাতে ক্ষতি?” শুনিয়া ঈষৎ হাসি কহেন বসুমতি—  “আমার গৌরব তাহে সামান্যই বাড়ে, তোমার গৌরব তাহে একবারে ছাড়ে।" সারমর্ম (i):  সুকঠিন শ্রম ও কর্মসাধনার মধ্য দিয়ে জগতে সাফল্যের গৌরব ও জয়মাল্য লাভ করতে হয়। আর অলস ব্যক্তিরা থাকে পরমুখাপেক্ষী হয়ে। সে কিছু না করে সৃষ্টি, না পায় তুষ্টি। কারণ করুণার দান গ্রহণে কোনো গৌরব নেই। বরং শ্রমের মাধ্যমে কিছু অর্জনের মধ্যেই যথার্থ গৌরব নিহিত থাকে। সারমর্ম (ii):  পরিশ্রম দ্বারা সম্পদ অর্জনে গৌরব আছে। পরের ওপর নির্ভর করা দুর্বলতা ও কাপুরুষতার শামিল। যাদের আত্মশক্তি নেই তারাই পরের সাহায্য প্রত্যাশা করে। মানুষ পরিশ্রমের মাধ্যমে জীবিকা অর্জন করে। শ্রমের মর্যাদা লাভেই সত্যিকারের গৌরব নিহিত। পরের দান গ্রহণে কোনো আত্মতৃপ্তি নেই।

'দৈন্য যদি আসে, আসুক, লজ্জা কিবা তাহে মাথা উঁচু রাখিস' - সারমর্ম লিখ

দৈন্য যদি আসে, আসুক, লজ্জা কিবা তাহে  মাথা উঁচু রাখিস।  সুখের সাথী মুখের পানে, যদি না চাহে  ধৈর্য ধরে থাকিস  রুদ্ররূপে তীব্র দুঃখ যদি আসে নেমে  বুক ফুলিয়ে দাঁড়াস।  আকাশ যদি বজ্র নিয়ে মাথায় পড়ে ভেঙে  ঊর্ধ্বে দু'হাত বাড়াস। সারমর্ম (i):  জীবনে দুঃখকষ্ট, ব্যথাবেদনা, জরামৃত্যু আছে। দুঃখের দিনে কেউ সঙ্গী হতে চায় না, তবে হতাশ হলে চলবে না। সব সময়ের সাথি ও সহায় যিনি, তাঁর সাহায্য চাইলেই হবে। সারমর্ম (ii):  কোনো অবস্থাতেই মানুষের ভেঙ্গে পড়া উচিত নয়। জীবন পথে দুঃখ দৈন্য আসতে পারে, দুঃসময়ে বন্ধু ত্যাগ করতে পারে, বজ্রপাতের ন্যায় জীবনে আকস্মিক মহাসংকট দেখা দিতে পারে। কিন্তু তাতে ধৈর্যহারা হলে চলবে না; বরং সাহসে বুক বেঁধে সকল প্রতিকূলতাকে প্রতিরোধ করে জীবন সংগ্রামে এগিয়ে যেতে হবে।

"নিন্দুকেরে বাসি আমি সবার চেয়ে ভালো" - সারমর্ম লিখ

নিন্দুকেরে বাসি আমি সবার চেয়ে ভালো,  যুগ জনমের বন্ধু আমার আঁধার ঘরের আলো।  সবাই মোরে ছাড়তে পারে বন্ধু যারা আছে,  নিন্দুক সে ছায়ার মত থাকবে পাছে পাছে।  বিশ্বজনে নিঃস্ব করে, পবিত্রতা আনে,  সাধকজনে নিস্তারিতে তার মত কে জানে?  বিনামূল্যে ময়লা ধুয়ে করে পরিষ্কার,  বিশ্বমাঝে এমন দয়াল মিলবে কোথা আর?  নিন্দুক সে বেঁচে থাকুক বিশ্বহিতের তরে,  আমার আশা পূর্ণ হবে তাহার কৃপা ভরে। সারমর্ম (i):  নিন্দুক সর্বদা মানুষের নিন্দা করে বেড়ায়। তারা বিনামূল্যে মানুষের ভুল-ত্রুটি দেখিয়ে দেয়। যার ফলে মানুষের ভুল-ত্রুটি সংশোধন হয়। নিন্দুকের নিন্দাবাণী মানুষকে নিজের সম্পর্কে সচেতন করে এবং ভালো মানুষ রূপে গড়ে উঠতে সাহায্য করে। তাই নিন্দুক মানুষের পরম বন্ধু। সারমর্ম (ii):  নিন্দুক অপরের কুৎসা রটনা করে ঘুরে বেড়ায়। এটাই তার স্বভাব। তাই বলে নিন্দুককে ঘৃণা করা উচিত নয়। সে-ই আমাদের পরম বন্ধু। কেননা, তার কুরটনার ভয়ে আমরা যে কোন দোষণীয় কাজ থেকে বিরত থাকতে সচেষ্ট হই।

"আঠারো বছর বয়সে আঘাত আসে অবিশ্রান্ত" - সারমর্ম লিখ

" আঠারো বছর বয়সে আঘাত আসে অবিশ্রান্ত;  একে একে হয় জড়ো, এ বয়স কালো লক্ষ দীর্ঘশ্বাসে এ বয়স কাঁপে বেদনায় থরোথরো।  তবু আঠারোর শুনেছি জয়ধ্বনি, এ বয়স বাঁচে দুর্যোগে আর ঝড়ে,  বিপদের মুখে এ বয়স অগ্রণী এ বয়স তবু নতুন কিছু তো করে । " সারমর্ম :   আঠারো বছর বয়স মানব জীবনের তাৎপর্যময় অধ্যায়। এ বয়সে মানুষ যখন কর্মোদ্দীপনা নিয়ে অসাধ্য সাধনে এগিয়ে যায়, তখন হতাশার দীর্ঘশ্বাস তাকে ঘিরে ধরে। কিন্তু সবকিছু উপেক্ষা করে এ বয়স নতুন কিছু করার জন্য সমস্ত বিপদ-বাধাকে অতিক্রম করে সামনের দিকে এগিয়ে যায়।

জ্ঞান যেখানে সীমাবদ্ধ, বুদ্ধি যেখানে আড়ষ্ট, মুক্তি সেখানে অসম্ভব - ভাব-সম্প্রসারণ কর

জ্ঞান যেখানে সীমাবদ্ধ, বুদ্ধি যেখানে আড়ষ্ট, মুক্তি সেখানে অসম্ভব। ভাব-সম্প্রসারণ :  জ্ঞান-বিজ্ঞানের আসল উদ্দেশ্য মানুষকে প্রকৃত শিক্ষায় শিক্ষিত করে গুণে-মানে পরিপূর্ণ করে তোলা। আর তা সম্ভব হলেই একজন মানুষ প্রকৃত মানুষ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে। আর জাতি হিসেবে মানুষ উঠে যায় উন্নতির শিখরে। এর প্রভাবেই নানা ধরনের কুসংস্কার, জড়তা ও হীনতা থেকে মুক্ত হয়ে শক্তিশালী জাতি হিসেবে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারে বিশ্বের দরবারে। আর এই জ্ঞান যদি সীমাবদ্ধ হয়ে যায় পুঁথি-পুস্তক কিংবা সংকীর্ণ চিন্তা-চেতনায়, তবে বুদ্ধি-বিবেক সেখানে আড়ষ্ট হয়ে পড়ে এবং সামগ্রিক মুক্তি সেখানে হয় সুদূর পরাহত। এ জন্যই মুক্তবুদ্ধির চর্চার মধ্য দিয়ে জ্ঞান-বিজ্ঞানকে সীমাবদ্ধ না রেখে যারা উদারভাবে জ্ঞানের আলোয় আলোকিত হয় তারাই সমাজের আদর্শ মানুষ হিসেবে পরিপূর্ণ মর্যাদা লাভ করেন। মুক্ত জ্ঞানের চর্চার মাধ্যমেই জাতি পেতে পারে সঠিক পথের সোনালি ভবিষ্যৎ। আজকে যে জাতি যত উন্নত, সে জাতির উন্নতির মূলে রয়েছে অসীম জ্ঞান শিক্ষার তৃষ্ণা। ফলে তারা কূপমণ্ডুক না হয়ে, বুদ্ধির আড়ষ্টতায় জড়িয়ে না গিয়ে মুক্তির সোপানে পৌঁছাতে সক্ষম হয...

"বহুদিন ধরে বহু ক্রোশ দূরে বহু ব্যয় করি বহু দেশ ঘুরে" - সারমর্ম লিখ

বহুদিন ধরে বহু ক্রোশ দূরে বহু ব্যয় করি বহু দেশ ঘুরে  দেখিতে গিয়েছি পর্বতমালা, দেখিতে গিয়েছি সিন্ধু।  দেখা হয় নাই চক্ষু মেলিয়া,  ঘর হইতে শুধু দুই পা ফেলিয়া  একটি ধানের শীষের উপর একটি শিশির বিন্দু। সারমর্ম (i):  মানুষ প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগের জন্য বহু সময় ও অর্থ ব্যয় করে বহু দেশ ঘুরে বেড়ায়। অথচ তার চারপাশের অনির্বচনীয় সৌন্দর্যটুকু সে প্রত্যক্ষ করে না। আমাদের পাশে সৌন্দর্যের বিচিত্র সমারোহ থাকতে পরিশ্রম করে দূরে গিয়ে সময় ও অর্থ নষ্ট করার কোনো যুক্তি নেই। সারমর্ম (ii): মানুষ বহু অর্থ ও সময়ের অপচয় করে দূরের দেশ, উঁচু পর্বতমালা ও সমুদ্র দেখতে যায়। অথচ আমাদের আঙিনার পাশে ধানের শীষের উপর শিশির বিন্দুর যে রূপ-সৌন্দর্য তা প্রত্যক্ষ করছি না। এ সৌন্দর্যকে অবহেলা করে অর্থ ব্যয় করে দূরদেশে যাওয়া অনর্থক কাজ।

প্রকৃতির ওপর আধিপত্য নয়, চাই প্রকৃতির সঙ্গে মৈত্রীর সম্বন্ধ - ভাব-সম্প্রসারণ কর

প্রকৃতির ওপর আধিপত্য নয়, চাই প্রকৃতির সঙ্গে মৈত্রীর সম্বন্ধ।   ভাব-সম্প্রসারণ  : প্রকৃতির সঙ্গে মানুষের সম্পর্ক নিবিড় ও গভীর। প্রকৃতি মানুষের চিরন্তন বন্ধু। আদিকাল থেকে আজ পর্যন্ত প্রকৃতিই মানুষকে খাদ্য ও আশ্রয় দিয়ে বাঁচিয়ে রেখেছে। প্রকৃতিকে দেখে মানুষ নানা কিছু শিখেছে, আবিষ্কার করেছে। পারস্পরিক সৌহার্দ্য-সম্প্রীতি, সাহায্য-সহযোগিতা, মায়া মমতা-ভালোবাসা প্রভৃতি মানুষ প্রকৃতির কাছ থেকেই শিখেছে। ক্রমশ মানুষ সচেতন হয়েছে, নিজের শক্তি ও সম্ভাবনা সম্পর্কে জেনেছে। সত্য, ন্যায় ও সুন্দরকে ধারণ করতে শিখেছে, ক্রমশ গড়ে তুলেছে সভ্যতার নতুন নতুন সোপান। প্রকৃতির অকৃপণ দান গ্রহণ করে এবং নানা উপাদান কাজে লাগিয়েই মানুষ নিজেকে নির্মাণ করেছে সর্বশ্রেষ্ঠ জীব হিসেবে। ষের অস্তিত্ব ও বিকাশ প্রকৃতির অনুগ্রহেরই দান। এমন উপকারী ও ত্যাগী বন্ধুর সঙ্গে কোনো বিরোধ বা শত্রুতা করা নিতান্তই অন্যায় কাজ। আমাদের টিকে থাকার স্বার্থে প্রকৃতির সঙ্গে গভীর ও চিরন্তন মৈত্রীর সম্পর্ক অব্যাহত রাখাই কর্তব্য। আধিপত্য শব্দটি জোর-জবরদস্তিরই নামান্তর। এর লক্ষ্য যদি যথার্থ উপকার বা কল্যাণ হয় তাহলে তা অবশ্যই সাদরে গ্...

গ্রন্থগত বিদ্যা আর পরহস্তে ধন নহে বিদ্যা, নহে ধন হলে প্রয়োজন - ভাব-সম্প্রসারণ

গ্রন্থগত বিদ্যা আর পরহস্তে ধন নহে বিদ্যা, নহে ধন হলে প্রয়োজন। ( i ) ভাব-সম্প্রসারণ :  গ্রন্থগত বিদ্যা এবং পরের হাতের ধন-সম্পদ যতক্ষণ পর্যন্ত নিজের হাতে না আসে ততক্ষণ পর্যন্ত তা কোনো কাজে লাগে না। অর্থাৎ বইয়ের বিদ্যা যা আত্মস্থ হয়নি এবং পরের সম্পদ যা নিজের আয়ত্তে আসেনি- তা প্রয়োজনের সময় কোনো কাজে ব্যবহার করা যায় না। মানুষ সৃষ্টির শ্রেষ্ঠ জীব। তার বিবেক আছে। মানুষ জ্ঞান অর্জন করে মহৎ গুণাবলির অধিকারী হয়। পরিশ্রম ও বুদ্ধি দিয়ে সে অর্থ উপার্জন করে। জ্ঞান ও অর্থ মানুষের মনুষ্যত্বকে পূর্ণতা দেয়। জ্ঞান অর্জন করতে হলে তাকে পড়াশুনা করতে হয়। গ্রন্থ বা বই জ্ঞানের ভান্ডার। এ গ্রন্থ পাঠ করে অন্য মানুষ তার জ্ঞানের পরিধি বিস্তৃত করতে পারে। জ্ঞানের ধারক ও বাহক হচ্ছে বই। গ্রন্থে আবদ্ধ মননের সোনালি শস্যের স্বাদ পেতে হলে আমাদেরকে বই পড়তেই হবে। কিন্তু বই হৃদয়ঙ্গম না করে কেবল প্রচুর বই সংগ্রহে রাখলেই তাকে জ্ঞানী বলা যায় না। কারণ ব্যক্তিগত, সামাজিক ও জাতীয় জীবনের প্রয়োজন দেখা দিলে গ্রন্থগত সে বিদ্যা কোনো কাজেই আসে না। কেবল মুখস্থ করে পরীক্ষা পাস করলেই প্রকৃত শিক্ষা পেতে পারে না। যদি গ্র...

পহেলা বৈশাখ বা বাংলা নববর্ষ উদযাপনের উপর একটি দিনলিপি লেখ

পহেলা বৈশাখ বা বাংলা নববর্ষ উদযাপনের উপর একটি দিনলিপি লেখ। ১৪ এপ্রিল, ২০২২  রাত ১১ : ৪০ মিনিট পহেলা বৈশাখ উদযাপন এবার বাংলা নববর্ষ উদযাপন করতে এসেছি গ্রামে। ঠিক গ্রাম নয়, ছোট শহর বলা যায়। সঙ্গে এসেছেন আব্বা, আম্মা, ভাই-বোন, মামা সবাই। ভোরে ঘুম থেকে উঠে ফুরফুরে বাতাসে কিছুক্ষণ সবুজ প্রকৃতিতে মিশে গেলাম। তারপর পুকুরে গোসল সেরে নতুন পাঞ্জাবি-পাজামা পরে বেরিয়ে পড়লাম। এখানকার স্কুল মাঠের পাশে বিশাল বটগাছের নিচে উদীচীর বর্ষবরণ অনুষ্ঠান। সবুজ ঘাসের উপর বসে কখনো নবীনদের সম্মিলিত কণ্ঠে, কখনো একক কণ্ঠে গান শুনে ভালো লাগল। তিন রাস্তার মোড়ে গেরুয়া পোশাক পরা বাউলরা মন মাতানো গান গাইছেন, শুনলাম কিছুক্ষণ। এর মধ্যেই চাচাত ভাই টেনে নিয়ে চলল নদীর পাড়ে। নৌকাবাইচ হবে। দশ-বারোটা নৌকা চমৎকারভাবে সাজানো, ঢোল খঞ্জনি বাজিয়ে গান হচ্ছে। স্থানীয় এমপি সাহেব এসে গেছেন। শুরু হলো বাইচ। নৌকার দুদিকে বসা রঙিন পোশাক পরা লোকেরা বৈঠা ফেলছে একতালে আর তর তর করে নৌকা ছুটে চলেছে। কারা জিতল জানা হলো না। আলোচনা সভায় যোগ দিলাম। আলোচকরা খুব চমৎকার বললেন। নতুন কিছু বিষয় জানলাম। লাঞ প্যাকেট দেওয়া হলো, খেয়ে নিলাম। ...

লঞ্চডুবির ঘটনা নিয়ে একটি দিনলিপি লেখ

লঞ্চডুবির ঘটনা নিয়ে একটি দিনলিপি লেখ।  ১৫ এপ্রিল, ২০২২ রাত ১১: ৩০ মিনিট লঞ্ছ ডুবি ফেরিতে করে নদী পার হওয়ার অভিজ্ঞতা আমার আগে ছিল না। পাটুরিয়া ঘাট থেকে ফেরিতে উঠলাম দুপুরের ঠিক আগে। পদ্মা নদী পার হয়ে ওপারে যেতে অনেকে লঞ্চে গিয়েও উঠেছে। হঠাৎ পশ্চিম আকাশ কালো হয়ে যায়। বাতাস বইতে থাকে জোরালোভাবে। তখন আমরা নদীর মাঝখানে। আমাদের খুব কাছাকাছি একটি লঞ ছিল। লঞ্চ থেকে মানুষের চিৎকার ভেসে আসছিল। এমন কালো মেঘ ও ঝড়ো বাতাসে আমরাও খুব ভয় পেয়েছিলাম। লঞ্চটিতে অতিরিক্ত যাত্রী থাকায় তা ঝড়ো বাতাসে প্রচণ্ডভাবে দুলছিল। মানুষ আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে লঞ্চের ভেতরে ছোটাছুটি করছিল। কালবৈশাখী ঝড়ের তীব্রতায় লঞ্চটি কাত হয়ে যায়। ডুবতে শুরু করে লঞ্চটি। কেউ কেউ ঝাঁপ দিয়ে নদীতে সাঁতার কেটে আমাদের ফেরির দিকে আসার চেষ্টা করে। মানুষের আর্তনাদে চারদিক বিপন্ন হয়ে ওঠে। আমার চোখের সামনে লঞ্চটি ডুবে গেল। তাদের উদ্ধারের জন্য আমাদের ফেরি এগিয়ে যায়। অনেকে উঠে আসে, অনেকে ব্যর্থ হয় ঝড়ো বাতাস ও নদীর স্রোতের কাছে। মানুষের এমন কান্না আর হাহাকার আমি জীবনে এর আগে দেখিনি। লঞ্চডুবির এই করুণ অভিজ্ঞতা নিয়ে আমরা ওপারে পৌঁছ...

তোমার এসএসসি পরীক্ষার ফল প্রকাশের দিনের একটি দিনলিপি রচনা কর

তোমার এসএসসি পরীক্ষার ফল প্রকাশের দিনের একটি দিনলিপি রচনা কর।  ২০ মে, ২০১৯ রাত ১১:০০ মিনিট এসএসসি পরীক্ষার ফল প্রকাশ গত রাত থেকেই কেমন একটা অস্থিরতা অনুভব করছিলাম। জানি পরীক্ষার ফল আশানুরূপ হবে, তবু একটা চিন্তা ঘিরে রেখেছে কী হয় না হয়। আজ কিন্তু এমন চিন্তা বা অস্থিরতা নেই। ভালো ঘুম হওয়ার কারণে মনটা ফুরফুরে হয়ে আছে। যা হয় হবে— এমন একটা সাহসী ভাব এসে গেছে। গোসল করে নাশতা সেরে নিলাম। মা তাগিদ দিচ্ছেন, 'কী রে, স্কুলে যাবি না।' বাবা এসে মাথায় বুলিয়ে বলছেন, 'চল, আমি তোর সঙ্গে যাই।' তাঁদেরকে আশা দিয়ে চলে এসেছি স্কুলে। বন্ধুরা অনেকেই এসেছে। চুটিয়ে আড্ডা দিচ্ছি। দু-একজনের মুখ ভার হয়ে আছে। তাদেরকে সান্ত্বনা দিচ্ছি। এমন সময় নোটিস বোর্ডে রেজাল্ট টানানো হলো। গণিত স্যার রোল নম্বর এবং ফল ঘোষণা করছেন। আমি জিপিএ-৫ পেয়েছি। হেডস্যার ও অন্য স্যারদের সালাম করে দোয়া চাইলাম। বাসায় আসতেই বাবা-মা আমাকে জড়িয়ে ধরে আদর করলেন। মিষ্টি বিতরণ করা হলো ঘরে ঘরে। আত্মীয়-স্বজনরা ফোনে খবর নিচ্ছেন আর দোয়া করছেন। বেশ রাত পর্যন্ত কেটে গেল এভাবেই। একসময় চোখ জুড়ে ঘুম এলো। রংপুর।

একটি গ্রাম্যমেলা দেখার অনুভূতি ব্যক্ত করে দিনলিপি রচনা কর

একটি গ্রাম্যমেলা দেখার অনুভূতি ব্যক্ত করে দিনলিপি রচনা কর। ১৪ ডিসেম্বর, ২০১৯  রাত ১০:৩০ মিনিট গ্রাম্য মেলা আমার নানাবাড়ি বাঘা এসেছি। আমার উদ্দেশ্য নানাবাড়ি বেড়ানো নয়। আমার উদ্দেশ্য ছিল পয়লা বৈশাখ উপলক্ষে গ্রাম্যমেলা দেখা। আজ আমার সেই আশা পূরণ হয়েছে। সকাল বেলা ঘুম থেকে উঠেই পায়ে হেঁটে দুই মামাতো ভাইকে সাথে নিয়ে মেলা দেখতে রওয়ানা দিই। নানাবাড়ির পাশে রাইতা বাজার সংলগ্ন একটি প্রাচীন বটগাছের নিচে এই মেলাটি বসে। মেলাটি সাত দিন ধরে চলে। দূরদূরান্ত থেকে মানুষ আসতে শুরু করেছে। দোকান ঘিরে শুরু হয়েছে ক্রেতাদের ভিড়। ঘন হয়ে পড়ছে শীতের কুয়াশা। কিন্তু অধিক লোকসমাগমে শীত খুব একটা অনুভূত হচ্ছে না। মিষ্টি, জিলাপি, পিঠার ঘ্রাণ ভাসছে বাতাসে। আমরা সেদিকে লাম। তিন ভাই পেটপুরে পিঠা দিয়ে নাশতা করলাম। মেলায় যে জিনিসটি আমাকে সবচেয়ে বেশি আনন্দ দিয়েছে তা হলো আমাদের ঐতিহ্য কুটির, মৃৎ ও কাঠের বিভিন্ন ধরনের সামগ্রী যেমন— শীতলপাটি, পাখা, নকশিকাঁথা, হাঁড়ি, পাতিল, পুতুল ইত্যাদি। মেলার আরও যে বিষয়টি আমাকে খুব আনন্দ দিয়েছে তা হলো গ্রাম্য খেলা যেমন- হাডুডু, পুতুল নাচ, মোরগের লড়াই যেগুলো আমি পূর্...

'বিপদে মোরে রক্ষা করো, এ নহে মোর প্রার্থনা' সারমর্ম লিখ

""   বিপদে মোরে রক্ষা করো, এ নহে মোর প্রার্থনা বিপদে আমি না যেন করি ভয়। দুঃখ তাপে ব্যথিত চিত্তে নাই - বা দিলে সান্তনা, সুঃখ যেন করিতে পারি জয়। সহায় মোর না যদি জুতে, নিজের বল না যেন টুটে, সংসারেতে ঘটিলে ক্ষতি, লভিলে শুধু বঞ্চনা। নিজের মনে না যেন মানি ক্ষয়।    "" সারমর্মঃ (i) স্রষ্টার নিকট কখনো অনুগ্রহ কামনা করা উচিত নয়। স্রষ্টা মানুষকে বিপদ আপদ থেকে রক্ষা করবেন। দুঃখে সান্ত্বনা দেবে এটাও প্রার্থনা করা উচিত নয়। বরং স্রষ্টার প্রতি পূর্ণ আস্থা রেখে দৃঢ় মনোবল নিয়ে সমস্ত প্রতিকূলতা মোকাবেলা করার মানসিকতা, দৃঢ়তা ও আত্মশক্তি সকলের থাকা চাই। সারমর্মঃ (ii) দুঃখ-ব্যথা থেকে অন্য কারো সাহায্যে উদ্ধার পাওয়া গৌরবের নয়। বরং মোকাবিলা করার শক্তি অর্জন করাই মানুষের প্রতিজ্ঞা হওয়া দরকার। কবিও সে কামনাই করছেন। তিনি যেন সকল দুঃখ-বেদনাকে জয় করতে পারেন নিজের মনোবল দিয়ে ঈশ্বরের কাছে এই তার প্রার্থনা।

'পরিবেশ দূষণ ও তার প্রতিকার' নিয়ে প্রবন্ধ রচনা কর

ভূমিকা :  পরিবেশ হলো পারিপার্শ্বিকতা। পরিবেশ মানবসভ্যতা ও সমাজ ব্যবস্থার বহিঃপ্রকাশ। জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত মানুষ পরিবেশের অনুগ্রহে লালিত-পালিত হয়। পরিবেশ মানবজীবনে মুখ্য প্রভাবকের ভূমিকা পালন করে। ম্যাকাইভারের ভাষায়, "জীবন ও পরিবেশ ওতপ্রোতভাবে জড়িত।” তাই মানুষের সুস্থ ও স্বাভাবিক জীবন-যাপনের জন্য দূষণমুক্ত নির্মল পরিবেশ আবশ্যক। অথচ প্রতিদিনই আমদের সুন্দর পৃথিবীর বাসযোগ্য পরিবেশ নানা কারণে দূষিত হচ্ছে এবং ক্রমেই তা মনুষ্য বসবাসের অযোগ্য হয়ে পড়ছে। পরিবেশ ও পরিবেশ দূষণ কী :  মানুষ তথা জীবজগতের বাসযোগ্য এলাকাই হলো তার পরিবেশ। পরিবেশ শব্দটির পরিধি খুবই ব্যাপক ও বিস্তৃত। বিষয়বস্তুগতভাবে কিংবা অর্থগতভাবে পরিবেশের একটি সুনির্দিষ্ট সংজ্ঞা দেওয়া অত্যন্ত জটিল। তবে পরিবেশ শব্দটির ভাবার্থের আলোকে বলা যায় যে, পার্থিব জলবায়ু, আবহাওয়া ও ভূ-প্রকৃতিগত জৈব ও ভৌত উপাদানসমূহের যৌথ প্রভাব ও পারিপার্শ্বিক অবস্থাকে পরিবেশ বলে। পরিবেশের সাথে সম্পৃক্ত হয়ে মানুষ এবং অপরাপর উদ্ভিদ ও প্রাণী জীবনের বিকাশ ঘিটে। জীবজগৎ ও তার পরিবেশের মধ্যে প্রতিনিয়ত জীবন রক্ষাকারী উপকরণের আদান-প্রদান চলে। এ আদ...

'পরিবেশ রসায়ন' কেমিস্ট্রি ২য় পত্র সম্পূর্ণ অধ্যায়ের নোটস

কেমিস্ট্রি দ্বিতীয় পত্রের 'পরিবেশ রসায়ন' অধ্যায়ের পূর্ণাঙ্গ নোটস দেওয়া হলো। পিডিএফ আকারে ফাইল ডাউনলোড করার উদ্দেশ্যে নিম্নে লিংক পাওয়া যাবে। নোটস এর ধরণ কেমন তা বুঝাতে নিচে কিছু ছবি দেওয়া হলো। 'Environmental Chemistry' Chemistry 2nd Paper notes সম্পূর্ণ নোট এর PDF নামাতে নিচের লিংক এ ক্লিক করুন। Download PDF

'লালসালু' উপন্যাসের গুরুত্বপুর্ণ চরিত্র সমূহের তালিকা ও সংক্ষিপ্ত বিবরণ

মজিদ :  মজিদ স্বার্থপরতা, প্রতারণা, শঠতা, কুসংস্কার ও অন্ধবিশ্বাসের প্রতীক। মিথ্যা ও কূটকৌশল অবলম্বন করে সে মোদাচ্ছের পীরের মাজার প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে অর্থ-সম্পদ ও সম্মানে প্রতিষ্ঠা পেতে তৎপর হয়েছে। নিজের প্রভাব-প্রতিপত্তি সুদৃঢ় করার জন্য গ্রামবাসীকে ফসল ওঠার আনন্দে গান গাওয়ার প্রচলন বন্ধ করে, নামাজ পড়া ও দাড়ি রাখা বাধ্যতামূলক করে, মেয়েদের স্বচ্ছন্দ চলাফেরায় বাধা দেয়। মাতব্বর খালেক ব্যাপারীর সঙ্গে স্বার্থের খাতিরে একজোট হয়ে মজিদ তাহের-কাদেরের বাবাকে মেয়ের । কাছে মাফ চাইতে বাধ্য করে। এ অপমান সহ্য করত না পেরে সে নিখোঁজ হয়। শিক্ষিত যুবক আক্কাস মহব্বতনগর গ্রামে শিক্ষার  আলো ছড়াতে স্কুল প্রতিষ্ঠা করতে চাইলে কৌশলে মজিদ তার স্কুল প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নস্যাৎ করে দেয়। আওয়ালপুরে আসা পীরের প্রভাব থেকে নিজেকে নির্ভাবনায় রাখতে খালেক ব্যাপারীর স্ত্রীকে তালাক দিতে বাধ্য করে। এভাবে মজিদ আশেপাশের গ্রামের সবাইকে প্রভাবিত করে মাজার সচল রাখে। এখন তার কথায় সবাই ওঠে বসে। ঘরে স্ত্রী রহিমা থাকতেও সে অল্পবয়সী জমিলাকে বিয়ে করে। খালেক ব্যাপারীর প্রথম স্ত্রী আমেনা বিবির সুন্দর পা দেখে তার কা...

বৃক্ষরােপণ সপ্তাহ পালনের প্রয়ােজনীয়তা উল্লেখ করে বন্ধুর নিকট একটি পত্র রচনা কর

বৃক্ষরােপণ সপ্তাহ পালনের প্রয়ােজনীয়তা উল্লেখ করে বন্ধুর নিকট একটি পত্র রচনা কর।  প্রিয় আলম,  শুভেচ্ছা ও ভালােবাসা নিও। আশা করি ভালাে আছ। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালাে আছি। গতকাল তােমার একটি চিঠি পেয়েছি। এতে বৃক্ষরােপণ সপ্তাহ’ পালনের প্রয়ােজনীয়তা সম্পর্কে তুমি জানতে চেয়েছ। সুস্বাস্থ্যের জন্য প্রয়ােজন মুক্ত ও বিশুদ্ধ বাতাস। বিশুদ্ধ বাতাসের জন্য প্রয়ােজন দূষণমুক্ত পরিবেশ। পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার জন্য প্রয়ােজন সবুজ বৃক্ষের। মানুষের প্রয়ােজন ও সভ্যতার উন্নয়নের স্বার্থে প্রতিনিয়তই মানুষ নিধন করছে বৃক্ষ, উজাড় হচ্ছে বন। ফলে পরিবেশ তার ভারসাম্য হারাচ্ছে। মানুষ ও জীবজন্তু শ্বাস-প্রশ্বাসে গ্রহণ করে অক্সিজেন, আর ত্যাগ করে কার্বন ডাই-অক্সাইড। কিন্তু সবুজ বৃক্ষ তার সম্পূর্ণ বিপরীত। এ প্রাকৃতিক নিয়মের কারণে পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করার জন্য প্রয়ােজন বৃক্ষরােপণের। সভ্যতা ও উন্নয়নের ফলে সৃষ্টি হচ্ছে কলকারখানা ও রাস্তায় চলাচল করছে অধিক হারে যানবাহন। কলকারখানা ও যানবাহনের ধোঁয়ায় বাতাসে কার্বন ডাই-অক্সাইডের পরিমাণ বৃদ্ধি পাচ্ছে। হ্রাস পাচ্ছে বাতাসের ওজোনস্তর। সৃষ্টি হচ্ছে গ্রিনহা...

Write a formal letter to your principal to spread awareness of Corona Virus

Dear sir, With due respect, more than ever, we all need to raise awareness, build solidarity, support each other and take necessary steps to protect ourselves and our families from the new coronavirus disease, to support their communities, and prevent the spread of the outbreak. The outbreak has left many people feeling worried, isolated, lonely and stressed. We must act quickly to alert the public about the outbreak's dangers and the precautions that must be taken to protect oneself. Under the circumstances, we are requesting for a awareness program to be initiated to prevent the spread of COVID and lift up community spirit.  Sincerely,  Your name

A paragraph on Premature Marriage - HSC SSC Paragraph Writing

This paragraph is divided into multiple sections for better understanding. But on examinations do not keep empty spaces. Write a paragraph on "Premature Marriage" Premature Marriage or Child Marriage is defined as a marriage of a girl or boy before the age of 18 and refers to both formal marriages and informal unions in which children under the age of 18 live with a partner as if married. Child marriage affects both girls and boys, but it affects girls disproportionately, especially in South Asia. Child marriage ends childhood. It negatively influences children’s rights to education, health and protection. These consequences impact not just the girl directly, but also her family and community. Child marriage violates children’s rights and places them at high risk of violence, exploitation, and abuse.  Child marriage is the result of the interplay of economic and social forces. In communities where the practice is prevalent, marrying a girl as a child is part of a cluster of s...

Paragraph on Food adulteration - HSC SSC English Writing

Write a Paragraph on Food adulteration Food adulteration is the act of debasing the quality of food either by the admixture or substitution of inferior substances or by the removal of some valuable ingredient. Adulteration is a legal term meaning that a food product fails to meet the legal standards.   Food adulteration may be categorized into two separate groups, namely, incidental and intentional adulteration. Incidental adulteration occurs when foreign substances are added to a food as a result of ignorance, negligence, or improper facilities. Intentional adulteration involves the deliberate addition of inferior materials to a food to heighten appearance qualities and to gain greater profits. The problem level is greater in low-economic zone like Bangladesh, Indonesia, India, Vietnam, and African countries. Food adulteration is a mostly practiced phenomenon in Bangladesh. Consumers are helpless in front of unlawful acts of some unscrupulous importers, producers, wholesaler,...

Paragraph on Dowry System - HSC, SSC Paragraph

This paragraph is suitable for HSC SSC or any equivalent level. Information used in this paragraph is gathered form reliable sources. Keep on reading and prepare well for forthcoming exams. Good luck! Write a paragraph on "Dowry System" Dowry is the activity taken place at the time of marriage when the bride’s family transfers wealth to the groom’s family in the form of cash, movable properties, or immovable properties. The existence of the dowry system is hard to trace, but it has long existed in Bangladesh. The dowry system brings a dark cloud above the heads of the bride’s family. Fathers of young girls fear the day of their daughter’s marriage and save money for that particular day. In rural parts of Bangladesh, the dowry system is quite more prevalent, along with casteism. Dowry is nothing but a nightmare for women. Every woman goes through the ugly phase, where she is made to feel like she is a liability. The country is continuously fighting against the dowry system. Va...