Skip to main content

Posts

Showing posts from February, 2021

IMEI নম্বর কী এবং কেন?

দেশের অবৈধ মোবাইল অচল হবে এমন প্রস্তাবনা আসার পর থেকে IMEI নম্বরের কথা কম বেশি সবাই শুনে থাকবেন। গত এপ্রিলের মধ্যে সেলুলার নেটওয়ার্ক থেকে আনরেজিস্ট্রার সকল মোবাইল সংযোগ বিছিন্ন করে দেওয়া হবে। শুধু দেশের এবং বাহির থেকে আসা BTRC -তে রেজিস্ট্রার হওয়া ফোনের সংযোগ অব্যহত থাকবে। এই পুরো ব্যাপারটা IMEI নম্বরের ওপর নির্ভর করে হবে। এই IMEI নম্বর এলো কীভাবে এবং এর কাজই বা কী? মোবাইল ডিভাইস মানুষের মাঝে প্রচলন ঘটার পর একটা প্রশ্ন আসলো, কীভাবে মোবাইল ব্যবহারকারীদের সনাক্ত করা যায়। সিম কার্ড আছে কিন্ত তা বের করে ফেলা যায়। পুলিশ ও বিভিন্ন দেশের সরকারী পর্যায়ের লোকজন এই ইস্যু সমাধানে উদ্দোগ নেন। এবং সিধান্ত নেওয়া হয়, যে ডিভাইস নেটওয়ার্কের সাথে সংযুক্ত থাকবে তার নির্দিষ্ট নম্বর থাকবে এবং এই নম্বর দিয়ে ডিভাইসের সনাক্ত করা যাবে সিম কার্ড পরিবর্তন করার পরেও। IMEI নম্বর কী? IMEI এর পুর্ণরূপ হলো International Mobile Equipment Identity। এটি একটি ইউনিক নম্বর যা সনাক্ত করে GSM, WCDMA এবং iDEN (সহজে ২জি, ৩ জি, ৪জি ব্রান্ড) মোবাইলে আর স্যাটেলাইট ফোনও। বেশিরভাগ সময়ই একটি IMEI নম্বর থাকে, ডাবল সিমে দুটো। IMEI ব্য...

Ping / Latency কী? Bandwidth ও Latency এর মধ্যে পার্থক্য

বর্তমানে অনলাইনভিত্তিক ভিডিয়ো গেমস বেশ জনপ্রিয়। এদেশেও Pubg ও Cod এর মতো মাল্টিপ্লেয়ার গেমসের জন্য মোটামুটি সবাই ping এর সাথে পরিচিত। এটা প্রতিটা গান ফায়ার, প্লেয়ার মুভমেন্ট বা আত্মরক্ষার ক্ষেত্রে এটা বিশেষ ভুমিকা রাখে। আসুন পিং বা লেটেন্সী আসলেই কতটা গুরত্বপূর্ণ বা এর কাজ কী তা জেনে নেওয়া যাক। Latency কী? Latency হলো নেটওয়ার্ক বিলম্বের সময়। অর্থাৎ ইউজার রিকোয়েস্টের পর সার্ভার থেকে ডেটা প্রেরণ করার রিসপন্স টাইম। Latency -কে পরিমাপ এবং রিপোর্ট করা হয় ping হিসেবে। লেটেন্সী পরিমাপের একক হলো Millisecond (ms) বা ১ সেকেন্ডের ১ হাজার ভাগের এক ভাগ। পিং যদি '100 ms' হয়, তবে ইউজারের ক্লিক করার সার্ভার থেকে রিসপন্স আসতে 100 মিলিসেকেন্ড সময় নিবে বা ওয়েবপেজে ক্লিক করার পর সাইটটি কতটা ফাস্ট রিসপন্স করে সেটা দেখাবে। আর ইউজার রিকোয়েস্ট করার পর ডেটা প্যাকেট ইউজার ডিভাইসে পৌঁছাতে যতটা সময় লাগে, তাকে Round trip time (RTT) বলে। যদিও ইন্টারনেটে ডেটা প্রায় আলোর বেগে চলে, তাও পিং ওঠা নামা লক্ষ্য করা যায়। এর মূল কারণ দূরত্ব ও রিসপন্স টাইমের প্রভাব যা ইন্টারনেটের অবকাঠামগত কারণে হয় এবং এটি পুরোপুরি নির...

মহাদেশ কীভাবে ভাংছে?

পৃথিবীর শুরু থেকে দেশ হোক কিংবা মহাদেশ; সব ধরনের ভূখণ্ডই প্রতিনিয়ত নিজেদের অবস্থানের পরিবর্তন করছে। এসব ভূখণ্ড বছরে মাত্র আধা থেকে চার ইঞ্চি (১.৩ থেকে ১০ সেন্টিমিটার) পর্যন্ত অবস্থানের পরিবর্তন করতে পারে। এখন পর্যন্ত যতগুলো সুপারকন্টিনেন্ট (অতি-মহাদেশ) অস্তিত্ব পাওয়া যায় তার মধ্যে চারটি সবচেয়ে বেশি পরিচিত। এগুলো হলো- কেনরল্যান্ড, কলাম্বিয়া, রডিনিয়া এবং প্যানজিয়া। এই প্যানজিয়া সম্পর্কেই সবচাইতে বেশি বিশ্বাসযোগ্য তথ্য এবং মানচিত্র সংগ্রহ করতে পেরেছেন বিশেষজ্ঞরা। প্যানজিয়া শব্দটি প্রাচীন গ্রিক ভাষার, যার অর্থ ‘সব ভূমি’। এই শব্দটির ব্যবহার মূলত ২০ শতকের দিকে শুরু হয়, যখন জার্মান বিজ্ঞানী আলফ্রেড ওয়াগনার সর্বপ্রথম এই অতি-মহাদেশের অস্তিত্ব আবিষ্কার করেন। তিনি লক্ষ্য করেন, পূথিবীর মহাদেশগুলোকে একসাথে জোড়া লাগালে ভূখণ্ডগুলো জিগস পাজলের মতো একত্রে যুক্ত হয়ে যায়। এ থেকে তিনি ধারণা করেন যে, এসব মহাদেশ পূর্বে একত্রে যুক্ত ছিল তথা অতি-মহাদেশ ছিল। প্যানজিয়া ভাঙতে শুরু করে জুরাসিক যুগে তথা আজ থেকে প্রায় ১৭৫ মিলিয়ন বছর পূর্বে। শুরুতে এটি ভেঙে গিয়ে দুটি নতুন মহাদেশের সৃষ্টি করে- গন্ডয়ানা এবং লরেশিয়া...